রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দশ ঘণ্টায় নয়টি যানবাহনে আগুন দিয়ে সারা দেশে শুরু হয়েছে বিএনপির ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি।
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তালহা বিন জসীম জানিয়েছেন, শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার ভোর সকাল ৬টা পর্যন্ত সময়ে রাজধানীতে সাতটি, গাজীপুর একটি এবং বরিশালে একটি গাড়ি পোড়ানোর খবর তারা পেয়েছেন।
এসব ঘটনায় আটটি বাস এবং একটি পিকআপ ভ্যান পুড়ে গেছে। দগ্ধ হয়েছেন এক বাসযাত্রী। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ১৯টি ইউনিট এবং ১৯৩ জন কর্মী এসব আগুন নেভাতে কাজ করেছে।
শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে নটরডেম কলেজের সামনে লাল সবুজ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ৮টায় গাবতলী বাস স্ট্যান্ডের সামনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি বাস।
রাত ৯টায় গুলিস্তান স্কয়ারের সামনে সময় নিয়ন্ত্রণ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রাত ৯টা ২৭ মিনিটে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
রাত ৯টা ৩৩ মিনিটে গাজীপুর জুগিতলায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি পিকআপ।
রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে ঢাকার কাফরুল থানার সামনে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
রাত ১২টায় ঢাকার মিরপুর রূপনগর থানার সামনে পোড়ানো হয় একটি বাস।
রোববার ভোর ৩টা ৩৫ মিনিটে বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ কার্যালয়ের সামনে মা এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ভোর ৬ টা ৯ মিনিটে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে মালঞ্চ পরিবহনের একটি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাস যাত্রী দগ্ধ
রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অনাবিল পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জব্বার নামের ৪৫ বছর বয়সী এক যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন, তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, জব্বারের শরীরে ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর বিএনপি হরতাল ডাকে। এরপর একে একে তিন দফায় সাত দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সঙ্গে সমমনা জোট ও দলও এ কর্মসূচি পালন করছে। রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তাদের চতুর্থ দফার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ, যা মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে।
অবরোধের মধ্যে যাত্রীর অভাবে দূর পাল্লার বাস ছাড়ছে না। তবে নগর পরিবহনের বাস, অটোরিকশা, রিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীতে মোড়ে মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।