Published : 20 Jan 2025, 11:19 PM
রাজধানীর মিরপুরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ‘সন্ত্রাসী’ দলের সদস্য, বলছে পুলিশ।
সোমবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে দুজনকে কোপানো ও ছুরি মারার পর পরই একজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম।
নিহত যুবকের নাম- বাবু ওরফে ব্লেড বাবু (৩৫)। আহত অন্যজনের নাম দীপু (৩৪)।
পুলিশ বলেছে, বাবু এলাকার চিহ্নিত ‘সন্ত্রাসী’ এবং দীপু তার ‘সহযোগী’।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সিরামিক রোডের বঙ্গবন্ধু কলেজের পাশে এ দুজনকে কুপিয়ে ও ছুরি মেরে আহত করা হয়।
পরে তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। দীপুকে ভর্তি করা হয়।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ও (বাবু) নিজেই সন্ত্রাসী। আমরা ওকে অনেকদিন থেকেই খুঁজছি। ওর বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।”
তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিল বা আছে কী না প্রশ্ন করলে ডিসি বলেন, “সন্ত্রাসীর আবার রাজনৈতিক পরিচয় কী। আমরা এরকম কিছু পাইনি।”
বাবু তার পরিবারের সঙ্গে মিরপুর থানাধীন ৬০ ফিট ছাপড়া মসজিদ এলাকায় থাকতেন।
তার খালাতো ভাই জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাবুর পুরো নাম রবিউল ইসলাম বাবু। একসময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন, পরে কয়েকটি অটোরিকশা কিনে ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী’ মুসার লোকজন এই হামলায় ‘জড়িত’ বলে স্থানীয় লোকজন তাদের বলেছেন।
জাকির দাবি করেন, মুসা মতিঝিলের আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যার অভিযোগপত্রভুক্ত অন্যতম আসামি। সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে তিনি এলাকায় ফিরেছেন।
২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাজাহানপুরে যানজটে আটকে পড়া গাড়িতে থাকার সময় এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু।
জাকির বলছেন, ২০২১ সালে আরেকটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডে একসঙ্গে অভিযুক্ত হন বাবু, দীপু ও মুসা। ২০২১ সালের ১৬ মে পল্লবীর আলী নগরে সন্তানের সামনে শাহীনউদ্দীন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। সেই মামলা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।