Published : 06 May 2025, 05:12 PM
বগুড়া শহরে এক হোমিও চিকিৎসককে তার চেম্বার থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে তাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন।
এর আগে সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেটের নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটকের পর মারধর করতে করতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
কারাগারে যাওয়া এস এম মিল্লাত স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। তিনি শহরের নাটাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে শহরবাসীর মাঝে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মারধরের এক পর্যায়ে মিল্লাত পানি খেতে চাইলে তার মাথায় পানি ঢেলে দেওয়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, সন্ধ্যায় মিল্লাত চেম্বারে গেলে একদল যুবক তাকে সেখান থেকে বের করে মারপিট করতে থাকেন। তাদের সঙ্গে আরও কিছু যুবক যোগ দেন। মারপিটের সময় একজন বলেন, “অনেক দিন হল তোকে খুঁজছি। আজ তোকে পেয়েছি।”
এনসিপির বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক আহাম্মেদ সাব্বির বলেন, “মিল্লাত আওয়ামী লীগ নেতা এবং জুলাই বিরোধী। সাধারণ জনগণ তাকে ধরে ফেলে। পরে এনসিপির কর্মীরা তাকে সেখান থেকে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়। এনসিপির নেতাকর্মীরা তাকে মারপিট করেননি।”
এনসিপির শ্রমিক বিভাগের কেন্দ্রীয় সংগঠক চিকিৎসক আব্দুল্লাহ সানী সাংবাদিকদের বলেন, “বিগত ১৫ বছর মিল্লাত ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীদের অনেক অত্যাচার করেছেন। সিন্ডিকেট করে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
“অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েও চাকরি দেননি তিনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। জনতা তাকে ধরেছে।”
ওসি মঈনুদ্দিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা হত্যা চেষ্টার মামলায় মিল্লাতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।