Published : 06 May 2025, 09:56 PM
বান্দরবানের থানচিতে এক খিয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠন মঙ্গলবার বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে সমবেত হন।
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা সমাবেশে বলেন, দেশের সমতল ও পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই ধরনের শাসনব্যবস্থা চলমান। তারপরও এত এত ধর্ষণ হয়, কোনোটার সুষ্ঠু বিচার হয় না।
“দুঃখের বিষয় আমাদের কথা কেউ বলে না। আপনারা রোহিঙ্গা ও রাখাইনের ব্যাপারে মানবতার ফেরিওয়ালা হন, কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের বেলায় সন্ত্রাসী, দেশদ্রোহী বানিয়ে দেন।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, “বান্দরবানের পুলিশ, জেলা প্রশাসক একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা নাকি ঠিক বুঝতে পারছে না কী হয়েছে, জায়গা দুর্গম হওয়ার কারণে। আপনারা জায়গাকে দুর্গম বলে আইনকে অন্যদিকে মোড় ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওখানে কী রকেট ছিল যে ধর্ষকরা রকেটে করে পালিয়ে গেল? তা নাহলে ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হল না।”
সোমবার বান্দরবানের থানচিতে জঙ্গল থেকে এক খিয়াং নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের ভাষ্য।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈসানু মারমা বলেন, “আমাদের কষ্ট একটাই। গতকালের (সোমবার) পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনও রাত জাগবে না। এই বাংলাদেশ রাত জাগবে না। বরং তারা এই হত্যাকে তারা জাস্টিফাই করেছে এই বলে যে তারা দেশদ্রোহী, সুতরাং তাদের ধর্ষণ 'বৈধ'।
বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অংশৈসিং মারমা সমাবেশে বলেন, “পাহাড়ের ধর্ষণের ঘটনাগুলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধামাচাপা দেয় এই অজুহাতে যে সেখানে সাম্প্রদায়িক ঘটনা হতে পারে। আমরা জানি পাহাড়ের প্রত্যেক ধর্ষণ ঘটনায় এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করে।”