ছয় সপ্তাহের জামিন শেষে আবার জামিন আবেদন করলেও মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ তা নামঞ্জুর করেন।
Published : 26 Feb 2025, 09:25 PM
সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ৫২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ‘আত্মসাতের’ অভিযোগে করা দুই মামলায় জামিন শেষে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
খালেক পাঠান আবার জামিন চাইলেও ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব বুধবার সে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
আদালতে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আক্কাস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খালেক পাঠান হাই কোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ আদালতে হাজির হন। এরপর তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
তিনি বলেন, শুনানিতে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কেয়া গ্রুপের কর্ণধারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা দুই মামলায় খালেক পাঠানের সঙ্গে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের পাঁচ কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান খালেক পাঠানের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. রেজওয়ানুল কবির, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ অমীয় কুমার মল্লিক এবং এসএভিপি ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলামকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এই আসামিরা সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কোনো অনুমোদন ছাড়াই গুলশান শাখা থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে ‘আত্মসাৎ’ করেছেন।
দ্বিতীয় মামলায় খালেক পাঠান, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মো. মোর্শেদ আলম মামুন ও মো. আশরাফুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, তারা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ গুলশান শাখা থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন এবং ‘আত্মসাৎ’ করেছেন।
এর আগে পৌনে ২০০ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছিল দুদক।