কমিশনের নিয়োজিত ব্যক্তিরা দুই সপ্তাহ ধরে ভোটারযোগ্যদের তথ্য নেওয়া, মৃতদের বাদ ও যাচাইয়ের কাজ করবে।
Published : 05 Jan 2025, 09:45 PM
আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলবে জানিয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
রোববার জারি হওয়া পরিপত্রে বলা হয়েছে, “২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম কিংবা যারা আগের ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম থেকে বাদ পড়েছেন, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
এ ধরনের ভোটারদের বায়োমেট্রিক গ্রহণসহ নিবন্ধন প্রক্রিয়া পার্শ্ববর্তী নিবন্ধন কেন্দ্রে সম্পন্ন করা হবে বলেও পরিপত্রে জানানো হয়। এই প্রক্রিয়া চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
ইসির জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক শরিফুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন ও বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহ এবং বিদ্যমান তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নেওয়া হবে।
“১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থান্তান্তরের আবেদন নেওয়া হবে। একই সময়ে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া এবং নতুন ভোটারের তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।”
পরিপত্রটি সব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত ২ জানুয়ারি চলতি বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জনের নাম।
সবশেষ গতবছর ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার ছিলেন ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন, এ বছরের হালনাগাদে তারা তালিকায় যুক্ত হলেন।
নতুন ভোটারদের নিয়ে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন।
আরও পড়ুন:
ভোটারদের বঞ্চনা ঘোচাতে চাই: সিইসি