শনিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সব বিচারপতিকে নিয়ে ফুলকোর্ট সভা আহ্বান করেন।
Published : 10 Aug 2024, 11:33 AM
প্রধান বিচারপতি হাই কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে ফুলকোর্ট সভা আহ্বান করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাই কোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়ার পর তা স্থগিত করা হয়েছে।
সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে প্রধান বিচারপতি ফুলকোর্ট সভা ডাকায় হাই কোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক ফেইসবুক বার্তায়।
শনিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সব বিচারপতিকে নিয়ে ফুলকোর্ট সভা আহ্বান করেন।
এরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানান অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুলকোর্ট মিটিং ডেকেছেন।
“পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা এরইমধ্যে এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের উস্কানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে।
“অনবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।”
আসিফ মাহমুদের পোস্টটি পরে সারজিস আলমসহ কয়েকজন সমন্বয়ক শেয়ার করেন।
তাদের মধ্যে আব্দুল হান্নান মাসুদ নামের এক সমন্বয়ক তার পোস্টে ‘হাই কোর্ট ঘেরাও’ করা হবে জানিয়ে সবাইকে দ্রুত সকাল ১০টার মধ্যে কার্জন হলের গেটে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান।
এর পরপরই প্রধান বিচারপতির ডাকা ফুলকোর্ট সভা স্থগিত করার খবর পাওয়া যায়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ পরে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রূপ নিলে ব্যাপক জনরোষের মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
ক্ষমতার পালাবদলে এরই মধ্যে নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যেখানে উপদেষ্টা হিসেবে স্থান পেয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
শেখ হাসিনার পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের যে দাবি উঠেছে, তার ছোঁয়া লেগেছে বিচার বিভাগে।
শেখ হাসিনার মেয়াদে নিয়োগ পাওয়া প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
বদলে যাওয়া পরিস্থিততে গত বুধবার পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনার সময় নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।