“আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা না গেলে জনগণের সামনে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে।”
Published : 14 Feb 2025, 05:29 PM
সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশে গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি তুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা তিনি বলেন, , “বাহাত্তরের সংবিধান যদি বাতিল করতে না পারি, তাহলে আগামীর পথ চলা অনেক কঠিন হবে।
“বহুদলীয় গণতন্ত্রের অংশ হিসেবে এখন একটি গণপরিষদ গঠন করা হোক। এই গণপরিষদের মধ্য দিয়ে মানুষের সংবিধান তৈরি করা হোক।”
‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বৈরতান্ত্রিক ভিত্তি জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা’ শিরোনামে এই আলোচনা সভা আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সেখানে নাসীরুদ্দীন বলেন, “১৯৪৭ সালে একটি লড়াই হয়েছিল; ১৯৭১ সালে আরেকটি লড়াই হয়েছিল। প্রতিটি লড়াইয়ের পর বিভিন্ন দল, গোষ্ঠী ও পক্ষের কাছে দলদাস হয়ে বাঁচতে হয়েছে।
“১৯৯০ সালে আমাদের কাছে একটা সুযোগ এসেছিল। কিন্তু আমরা মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ বা প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছি।”
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং অভ্যুত্থানের পর গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দল সম্পর্কে পাটওয়ারী বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে ছাত্র সমাজের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি দল নিয়ে আসছে। এই দল হবে মধ্যপন্থি।
“দলটি কোনো বাইনারিতে যাবে না; কোনো মতাদর্শিক বিভাজনে যাবে না। মতাদর্শিক বিভাজনের কারণে সামাজিক সম্প্রীতি ভেঙে পড়ছে।”
আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির এই নেতা।
“আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের যদি নিবন্ধন বাতিল করা না যায়, তাহলে জনগণের সামনে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশকে একটা সিভিল ওয়ারের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।
“এজন্য সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো বলব- যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, ভাইদেরকে শহীদ করেছিল, তাদের প্রতি ও তাদের দোসরদের প্রতি দয়া দেখাবেন না। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে তাদেরকে বয়কট করুন।”
তিনি বলেন, “সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গণপরিষদ নির্বাচনের দিকে কীভাবে যেতে পারি, সে বিষয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলগুলোকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
“ছাত্র জনতার যে দলটি আসছে, জনগণের সামনে আমাদের রাজনৈতিক লড়াই হবে গণপরিষদ নির্বাচন। একটি নতুন সংবিধান। এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পথে প্রান্তরে বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবো। জনতা যেভাবে ২০২৪ সালে জেগে উঠেছে, রাজপথে আবারও দেখা হবে। আমাদের সামনে আসবে এক নতুন সংবিধান।”