২০২১ সালের ৩০ মে রাজধানীর কলাবাগান প্রথম লেইনের একটি বাড়ির চার তলার ফ্ল্যাট থেকে সাবিরার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
Published : 11 Jul 2023, 04:08 PM
ঢাকার কলাবাগানে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন রেখেছে আদালত।
মঙ্গলবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিল। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. জুয়েল মিঞা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিন নতুন এ দিন ধার্য করেন।
২০২১ সালের ৩০ মে রাজধানীর কলাবাগান প্রথম লেইনের একটি বাড়ির চার তলার ফ্ল্যাট থেকে সাবিরার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
হত্যা মামলা করেছে ডা. সাবেরার পরিবার
৪১ বছর বয়সী এই চিকিৎসক গ্রিন লাইফ হাসপাতালে সনোলজিস্ট ছিলেন। তার শরীরে ধারাল অস্ত্রের জখম এবং পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়ার কথা সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল।
ওই ফ্ল্যাটের তিনটি কক্ষের একটিতে থাকতেন সাবিরা। বাকি দুটি ঘর দুই তরুণীকে সাবলেট দিয়েছিলেন। পাশের কক্ষে থাকতেন এক ফ্যাশন মডেল। আর অন্য কক্ষে থাকতেন এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, যিনি ঘটনার দিন ওই বাসায় ছিলেন না। তাদের দুজনকেই পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওই ঘটনায় ১ জুন কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন সাবিরার ফুফাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার। তবে সেখানে আসামির তালিকায় কারো নাম ছিল না।
থানা পুলিশের হাত ঘুরে পিবিআই মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল ডা. সাবিরার স্বামী এ কে এম সামছুদ্দিন আজাদকে শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
সাবিরার প্রথম স্বামী একজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০০৩ সালে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুর পর ২০০৫ সালে ব্যাংকার আজাদকে বিয়ে করেন সাবিরা। তবে মনোমালিন্য হওয়ায় তারা আলাদা থাকতেন।
দুই সংসারে সাবিরার দুই সন্তান রয়েছে। তারা তাদের নানীর বাসায় থাকে। সেই বাসাও কলাবাগানে।