এসব ব্যাংক হিসাবে ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকা রয়েছে।
Published : 13 Apr 2025, 05:29 PM
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, তার স্ত্রী শিখা সরকার ও ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সুধীর কুমার সরকারের নামে থাকা ২৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
অভিযোগ অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার আদালতে আবেদনটি করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, বিমল কৃষ্ণ, শিখা সরকার ও সুধীর কুমার সরকারের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলোতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নিজ নামে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাব খুলে কর ফাঁকি ও অর্থের উৎস আড়ালের চেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘আর পি কনস্ট্রাকশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ২০১ কোটি টাকা জমা ও উত্তোলন করেছেন, এমন তথ্য আছে।
এছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক এই চেয়ারম্যানের নিজের নামে থাকা ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩২ কোটি ১৪ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন এবং ৩১ কোটি ৭২ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে এসব হিসাবে ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকা স্থিতি রয়েছে।
দুদক বলেছে, বিমল কৃষ্ণ ও অন্য দুজন তাদের ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ ‘হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত’ করার চেষ্টা করছেন। এই অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যহত ও রাষ্ট্রের ক্ষতি হওয়া সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
গত ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর তিনি পালিয়ে ভারতে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের পর দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে আটক করে বলে খবর আসে।