আগামী ১০ অক্টোবর অন্যদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
Published : 24 Sep 2024, 04:49 PM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সতের বছর আগে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল বাকী।
মঙ্গলবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার নয় নম্বর বিশেষ জজ মুহম্মদ আলী আহসানের সামনে সাক্ষ্য দেন বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল বাকী।
খালেদা জিয়ার পক্ষে এদিন তার আইনজীবী হাজিরা দিয়েছেন বলে তার অন্যতম আইনজীবী হান্নান ভূইয়া জানান।
তিনি বলেন, বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর তারিখ ঠিক করেছেন বিচারক।
আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান, “এ মামলায় মোট ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। মামলার ৫ নম্বর সাক্ষী আব্দুল বাকী আগে আংশিক সাক্ষী দিয়েছেন। আজ তার অবশিষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। মামলার ৬ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়েছে।”
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল বাকী তার জবানবন্দিতে বলেন, নাইকো ও বাপেক্সের মধ্যে ছাতক ফিল্ড নিয়ে বিরোধ থাকলেও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে পেট্রোবাংলার মাধ্যমে চুক্তি অনুমোদন করা হয়।
জেরায় বাকী বলেন, “চুক্তির বিষয়টি ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শুরু হয় এবং একটি টেকনিক্যাল টিম কানাডায় গিয়ে গ্যাস ফিল্ড নিয়ে তদন্ত করে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নাইকোর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়।”
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, তাতে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
এরপর গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন-সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এদের মধ্যে তিন জন পলাতক।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।