বুধবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ ৭ জন।
Published : 09 Oct 2024, 07:19 PM
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারে সব অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই প্রতিবেদন তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার
বুধবার বিকালে নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের আনুষ্ঠানিক দ্বিতীয় বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, “সময় সংকীর্ণ, সময় কম, তবুও আমরা অংশীজনের যতটুকু সম্ভব আলাপ আলোচনা করব। এরপরে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিব।”
৩ অক্টোবর আট জনের এ কমিশন গঠিত হয়। ৯০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে কমিটির।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত কীভাবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমরা শুরু করলাম। সব কিছু জানবেন। আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করব।”
যেসব বিষয় পর্যালোচনা করবে কমিশন
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমরা যেটা করব নির্বাচনের সাথে সংবিধান যুক্ত আছে, অনেকগুলো আইন যুক্ত আছে, বিধি-বিধান যুক্ত আছে। সংবিধানে নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব বিধি-বিধান আছে সেগুলো পর্যালোচনা করব। পরে এসব বিষয়ে কী করা যায়, তা পর্যালোচনা করে আমরা সুপারিশ করব।”
তিনি জানান, সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো নির্বাচন কমিশন। এরসাথে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে নির্বাচনের সাথে যুক্ত।
“এসব প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে আরও নিরপেক্ষ, কার্যকরী করা যায়, সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করা যায়- এই বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা, আপনাদের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে কিছু সুপারিশ করব। আমাদের বড় কাজ জাতীয় নির্বাচনের আরপিওসহ অনেকগুলো আইন পর্যালোচনা করব। প্রত্যেক বাক্য আমরা পর্যালোচনা করব, মূল্যায়ন করার চেষ্টা করব।”
নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের এ বিশেষজ্ঞ বলেন, “নির্বাচনের ব্যাপারে অনেকগুলো ফর্ম রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে কি না তাও দেখা হবে। নির্বাচন ব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ ও জাতীয় নির্বাচনে যে সংরক্ষিত আসন আছে, স্থানীয় নির্বাচনে যে রিজার্ভ সিট আছে এসব বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
“আমাদের বড় ইস্যু হলো, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার অধিকার ও ভোটের অধিকারহীনতা- এটা নিয়ে কী করা যায়, এই বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখব। এখানে আমাদের যে টেকনোলজি এক্সপার্ট আছে, সে খতিয়ে দেখবে। এবং অন্যদেরও সহায়তা নিব। অতীতের নির্বাচনগুলো খতিয়ে দেখার চেষ্টা করব, তা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার চেষ্টা করব এবং আমরা পাশ্ববর্তী দেশের নির্বাচনের কিছু অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেষ্টা করব। এগুলো আমরা প্রাথমিকভাবে চিন্তা করেছি।”
সবার সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, “আমরা তথ্য দিয়ে আলো ছড়ানোর চেষ্টা করব, তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন, এর ফলে জাতি উপকৃত হবে।”
বুধবারের বৈঠকে সাতজন উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনে যারা
নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে আরও সাতজনকে সদস্য করা হয়েছে।
সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদ তোফায়েল আহমেদ; নির্বাচন ব্যবস্থা, ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিশেষজ্ঞ ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী; নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুল আলীম; রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ওপিনিয়ন মেকার জাহেদ উর রহমান; শাসন প্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন; ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি (এখনও যুক্ত হয়নি)।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রেখে সংস্কারের ৫ পূর্ণাঙ্গ কমিশন
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মাহফুজ আলমসহ ৯ সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন