ঢাকার আজিমপুর থেকে তিনবারের সাবেক এ সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব।
Published : 14 Nov 2024, 09:28 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে নাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ভোলা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
এদিন তিনবারের সংসদ সদস্য মুকুলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মো. আল আমীন তালুকদার। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ দেন বিচারক।
আগের রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা মুকুলকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেয় র্যাব।
পরে তাকে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তার আইনজীবী খায়ের উদ্দিন শিকদার শুনানিতে বলেন, গত ১৯ জুলাই মিরপুরের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৭ অগাস্ট। এজাহারে ১৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে তাকে। বাদীর ঠিকানা ভোলার দৌলতখানে। আসামি ওই আসনের সংসদ সদস্য। কাজেই বোঝা যায় প্রতিহিংসার মামলা।
”তখন আওয়ামী লীগের নির্দেশনা ছিল, যে যার অবস্থান থেকে কর্মসূচী পালনের। তখন ছাত্র জনতার আন্দোলন চলছিল। ওই সময় আলী আজম মুকুল নিজ এলাকায় ছিলেন। তবে ভোলায় কোনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। ওই এলাকা নিরিবিলি, শান্ত ছিল। শুধু হিংসার বশবর্তী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।”
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, “আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, ভোলায় তিনি জনপ্রিয়। কিন্তু তার বড় পরিচয় তিনি ফ্যাসিস্টের সহযোগী। গুম, খুন করেছেন। বিরোধীদের রাজনীতি করতে দেননি। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এই হলো তার জনপ্রিয়তার মাপকাঠি।”
মামলার তথ্য অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় নিহত হন নাহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য মুকুল ১৬ নম্বর আসামি।