বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুটি হত্যার ঘটনায় ঢাকার শেরেবাংলা নগর ও তেজগাঁও থানায় এসব মামলা হয়।
Published : 24 Sep 2024, 12:39 PM
শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক এমপি সাদেক খান এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আরো কয়েকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুটি হত্যার ঘটনায় ঢাকার শেরেবাংলা নগর ও তেজগাঁও থানায় এসব মামলা হয়।
পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি করে মঙ্গলবার তা মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান।
সকালে তাদেরকে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে শাহাবুদ্দিন হত্যার ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মো. আনিসুর রহমান।
এছাড়া কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহিদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় তেজগাঁও থানার মামলায়, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, শাহজাহান খান ও সাদেক খানকে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই মো. আমীর হামজা।
পুলিশের আবেদনের পর তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন, আব্বাস উদ্দিন ও কামরুল ইসলাম সিকদার।
আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, “তাদেরকে রাজনৈতিক হয়রানির জন্য বিভিন্ন মামলায় বারবার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হচ্ছে। এটা ন্যায়ের শাসনের পরিপন্থি। এটা সংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।“
এরপর জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে সালমান, আনিসুল, শাজাহান, সাদেক ও মামুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন হাকিম মো. সাইফুজ্জামান।
শাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, সরকার পতনের দিন গত ৫ অগাস্ট সন্ধ্যায় ৩৫ বছর বয়সী শাহাবুদ্দিন কিছু খাবার কেনার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
শেরেবাংলা নগর থানার সামনে পশ্চিম আগারগাঁও চৌরাস্তায় ওঠার সময় হঠাৎ পুলিশের ছোড়া গুলিতে শাহাবুদ্দিনের মাথায় গুলি লাগে।
ওই সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ অগাস্ট ফার্মগেইট ফুটওভার ব্রিজের নিচে ক্লাসের সহপাঠীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন ওই তরুণ।
বিকাল ৪টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন এই শিক্ষার্থী। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।