১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
Published : 22 Dec 2024, 02:27 PM
জাতীয় পরিচয়পত্রের ‘তথ্য হস্তান্তর’ করার অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন-ইসি।
রোববার ইসি সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন থেকে এনআইডির তথ্য-উপাত্ত যাচাই সেবা গ্রহণকারী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট সংখ্যা ১৮৩, যার মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলও রয়েছে।
এই সেবা নিতে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে ইসির সঙ্গে।
সেই চুক্তি অনুযায়ী, কমিশনের তথ্য-উপাত্ত কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো ব্যক্তি, স্বত্ত্ব, পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর, বিনিময়, বিক্রয় কিংবা অন্য কোনো পন্থায় দিতে পারবে না কম্পিউটার কাউন্সিল।
তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এই সংস্থাটি তা মানেনি বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।
ইসি বলছে, এ বিষয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তার জবাব দেয়নি কম্পিউটার কাউন্সিল। এরপর ৬ অক্টোবর আরেক চিঠিতে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
তখন কম্পিউটার কাউন্সিল যে জবাব দিয়েছে তা কমিশনের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ইসি এও বলছে, প্রযোজ্য ফি বা চার্জ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় চুক্তিটি বাতিলযোগ্য বলে মনে করছে কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতিতে গত ২০ ডিসেম্বর চুক্তিটি বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কম্পিউটার কাউন্সিলকে দেওয়া অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ দিনের মধ্যে পুরো বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কম্পিউটার কাউন্সিলের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
এনআইডির তথ্য বিক্রির অভিযোগে গত ৮ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলা হয়।
এনামুল হক নামের এক ব্যক্তির করা ওই মামলায় ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ‘২০ হাজার কোটি টাকায়’ বিক্রি করে ‘অবৈধভাবে আত্মসাতের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরদিন কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
তখন ডিএমপির তরফে বলা হয়েছিল, এনআইডির তথ্য বিক্রির মামলায় ২০ হাজার কোটি টাকার ই-ট্রানজেকশনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ।