ময়মনসিংহ সিটির সব পদে এবং কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন হয়েছে। একইদিনে অনুষ্ঠিত দুই শতাধিক নির্বাচনের অধিকাংশই উপ-নির্বাচন।
Published : 09 Mar 2024, 05:15 PM
কিছু কিছু জায়গায় কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ শনিবার দুই শতাধিক উপ-নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, দু’চারটি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে; কোথাও প্রভাবে খাটানো হয়েছে, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
শনিবার ভোট শেষে বিকাল ৫টার দিকে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
ময়মনসিংহ সিটির সব পদে এবং কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন হয়েছে। একইদিনে অনুষ্ঠিত দুই শতাধিক নির্বাচনের অধিকাংশই উপ-নির্বাচন।
দুই সিটিতে গড়ে ভোটের হার প্রায় ৫০% হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বলেন, “ সকাল ৮টায় নির্বাচন শুরু হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দু'চারটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ১৮টি অপ্রীতিকর ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাই নি যে, প্রভাবে খাটানো হয়েছে, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কুমিল্লায় কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি হয়েছে, ছুরিকাঘাতও হয়েছে একটি কেন্দ্রে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোট প্রভাবিত হয়নি।”
শনিবার ভোট শুরুর পর কুমিল্লায় কয়েকটি কেন্দ্রে গোলযোগে উত্তেজনা ছড়ায় কিছু সময় ও প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল বেশি। তবে ময়মনসিংহে গোলযোগ না থাকলেও ভোটারদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বেশি।
কুমিল্লায় তিন প্রার্থী তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন সকাল থেকেই। এর মধ্যে এক কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলিতে দুজন আহত হন।
পাশাপাশি দুই সিটিতেই ইভিএমে ভোট দিতে আঙুলের ছাপ না মেলা এবং ধীর গতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ আসে।
সিইসির সঙ্গে থাকা নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, “কুমিল্লায় প্রত্যেক প্রার্থীই কমবেশি শক্তি প্রয়োগ করেছে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
“আমরা বলেছিলাম (ঘটনায় জড়িতদের) যাকে পাওয়া যায় তাকেই যেন গ্রেপ্তার করা হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাইনি।”
এ নির্বাচন কমিশনার জানান, মেয়র পদে কুমিল্লায় বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
“আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। ভোটকেন্দ্রের বাইরে যে ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা হয়। তুলনা করলে খুই নগন্য এটা। সার্বিকভাবে আমরা বলতে পারি ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে,” বলেন মো. আলমগীর।
পৌরসভা ভোটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, “শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে প্রত্যাশিত সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু বন্ধ হয়নি।”