“পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে,” উপ-কমিশনার ইবনে মিজান।
Published : 10 Mar 2025, 02:27 PM
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান জানান।
তিনি বলেন, “ভর্তি ছাত্রদের সাথে স্টাফদের গন্ডগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে।”
বেলা ২টার পর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ফটকে পুলিশ আর ভেতরে সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়ে রয়েছেন।
হাসপাতালটির এক কর্মী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই এই হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর মধ্যে রোববার রাতে ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা। এর মধ্যে তাদের ওপর ‘হামলা’ হয় বলে দাবি করেন ওই কর্মী।
নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সংবাদমাধ্যমে নাম প্রকাশ করতে চাননি।
তবে অভ্যুত্থানে আহতদের একজন মামুন বলেন, তিনি ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানার সামনে আহত হন। এখানেই ভর্তি ছিলেন।
“পুরো হাসপাতাল চালায় দালাল সিন্ডিকেট। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় সকাল ১০টার দিকে ফিজিওথেরাপি নিতে যাওয়া আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের একদল কর্মচারী ও দালাল।”
হাসপাতালের ভেতরে জরুরি বিভাগের সামনেও সেনা সদস্যদের অবস্থান দেখা যায়।