“আমরা যখন আন্দোলন করেছি বা করতাম তখন মাঠ পর্যায়ে অনেক সাংবাদিক আমাদের সংবাদ সংগ্রহ করত, কিন্তু ওই নিজউটা আসলে প্রকাশ হত না”, বলেন তিনি।
Published : 07 Oct 2024, 05:02 PM
অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করার ঘোষণা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকার পতন আন্দোলনের সময় সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা পর্যালোচনা করে দেখা উচিত।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সংবাদমাধ্যমের সংস্কার: কেন? কীভাবে?’ বিষয়ে এক ‘মুক্ত আলোচনায়’ তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই-অগাস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান গণমাধ্যমের জন্য বড় কেস স্টাডি। সেখানে গণমাধ্যমের কী ভূমিকা ছিল, এটা নিয়েও নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা, নির্মোহ আলোচনা, সমালোচনা করা উচিত।”
সে জায়গায় ‘হয়ত অনেক বিষয় উঠে আসবে’ মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, “আমরা যখন আন্দোলন করেছি বা করতাম তখন মাঠ পর্যায়ে অনেক সাংবাদিক আমাদের সংবাদ সংগ্রহ করত, কিন্তু ওই নিজউটা আসলে প্রকাশ হত না।
“শুনতাম ‘হাউজ পলিসি’ আছে, হাউজ এটা ঠিক করে দেয়। তো দায়িত্ব নেওয়ার সময় আসলে কেউ নেয় না।”
শাটডাউনের সময় ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যম ‘কোন সংবাদই’ প্রকাশ হয়নি অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “কী তথ্য প্রচার করেছে, তা দেশের জনগণ দেখেছে। দায়িত্বশীলদের বলা হলে বলবে, সরকারের থেকে ‘চাপ’ দেওয়া হয়েছে। আমরা তো নীতিগত সংস্কারের কথাটা বলতেছি, কিন্তু একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ভেতরও সেই রেজিসটেন্সটা প্রয়োজন।”
সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডসহ বেতনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘দাসসুলভ’ আচরণের সুযোগ নেই। সাংবাদিকেরা কেন পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না, সেসব বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কবে
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এই কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলেও জানান নাহিদ।
“সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বসা হয়েছে। আজকের আলোচনাটাও এক ধরনের ইনসাইড দেবে। মালিকপক্ষ, বিভিন্ন পক্ষের সাথে বসাটা এখনও শেষ হয়নি। সকল পক্ষের সঙ্গে বসে তাদের একটা পরামর্শ নিয়ে সংস্কার কমিশনটা ঘোষণা করতে চাচ্ছি। সাংবাদিকদের সঙ্গেও বসা হবে, তাদের কথাও শুনতে চাই।” তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “দেশে গণমাধ্যম সাক্ষরতা গড়ে ওঠেনি; এখানে গণমাধ্যমে পেশাদারত্বের সংস্কৃতি অনুপস্থিত।
“অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করা হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”