২০১৮ সালে করা মামলাটি কেন বাতিল হবে না, সেটি জানতে চেয়ে রুল জারি।
Published : 04 Nov 2024, 04:58 PM
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সারা হোসেন; সঙ্গে ছিলেন প্রিয়া আহসান চৌধুরী।
সারাহ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং এ মামলা কেন কোয়াশ (বাতিল) করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ৩ ও ৪ অগাস্ট জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেইসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।
এরপর ৫ অগাস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলবে
পরে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন শহিদুল।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ রুলসহ আদেশ দেয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সংবিধানের ৩১ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন তা আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
শহিদুলের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত স্থগিতের আদেশ আপিলে বহাল
তিন মাস পর জামিন পেলেন আলোকচিত্রী শহিদুল
সেই সঙ্গে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমও স্থগিত করে দেয় হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেলে ২০১৯ সালের ১৯ অগাস্ট সর্বোচ্চ আদালত হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে রুলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
সেই ধারাবাকিতায় ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ ওই রুল খারিজ করে এবং তদন্ত কাজের ওপর স্থগিতাদেশ বাতিল করে রায় দেয়।
এরপর তিনি মামলার কার্যক্রম বাতিল (কোয়াশমেন্ট) চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন।