জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে 'মুজিব ও স্বাধীনতা' শীর্ষক এ প্রদর্শনীর আয়োজন।
Published : 24 Jun 2024, 11:28 PM
জাতীয় সংসদ ভবনে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন সংসদ নেতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদ সচিবালয় এক বিজ্ঞাপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং 'মুজিব ও স্বাধীনতা' এর প্রশংসা করেন। তিনি এ আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এবং হুইপ সানজিদা খানম এসময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিসভার সদস্য এবং জাতীয় সংসদের সদস্যরাও পরে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে 'মুজিব ও স্বাধীনতা' শীর্ষক এ প্রদর্শনীর আয়োজন। এর প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০ এর দশকের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ প্রদর্শিত হয়েছে।
৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারাবর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।
তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সাথে আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার ইতিহাস। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্রও প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।