হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আপনারা বিপদে পড়বেন, তারপর ছাত্রদের রাস্তায় নামতে বলবেন। এভাবে আর বেশিদিন হবে না।”
Published : 11 Nov 2024, 07:28 PM
অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন নেতা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের তিন মাসের মাথায় মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদের আকার আরেক দফায় বাড়ানো হয় রোববার। এদিন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।
পরে শেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন আরেক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পেয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
তিন উপদেষ্টার শপথের পর থেকেই শেখ বশির ও ফারুকীকে নিয়ে সমলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
মানববন্ধনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাজা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করেছে। তাদের সাথে আলোচনা না করে এই নিয়োগ দিয়েছেন।
“আপনারা শিক্ষার্থী, নাগরিক, শ্রমিক-জনতার সাথে মশকরা বন্ধ করেন। আপনারা বিপদে পড়বেন, তারপর ছাত্রদের রাস্তায় নামতে বলবেন। এভাবে আর বেশিদিন হবে না। যারা ‘ফ্যাসিবাদের’ নুন খেয়েছে, আমরা কোনো ফরমেটেই তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না।”
তিনি আরও বলেন, “যাদেরকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ‘ফ্যাসিস্টদের’ বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। আর যদি কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে আপনারা ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছেন।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, “অভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্য থেকে বিপ্লবী সরকারের কথা উঠে এসেছিল। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতার কথা বলে আমাদেরকে সংবিধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল।
“গতকাল আমাদের অবহিত না করে ‘ফ্যাসিবাদের’ দোসরদের উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে যদি চলতে থাকে, আমরা নতুন সরকার গঠন করতে বেশি সময় নেব না। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান রক্ষা করতে আমরা রক্ত দিয়ে মাঠে থাকব।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, “কথা ছিল আবু সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধরা জীবন দিলে ‘ফ্যাসিবাদী’ ব্যবস্থা বিলোপ হবে। কিন্তু যারা ‘ফ্যাসিবাদ’ বিলোপের স্টেকহোল্ডার, তাদের সাথে আলোচনা না করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আপনারা যদি মনে করেন, বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে গিয়েছে। আপনারা ভুলের মধ্যে আছেন। ‘ফ্যাসিবাদী’ কাঠামো বিলোপে আমরা আবারও নামতে প্রস্তত আছি।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা তরিকুল ইসলাম, হাসিব আল ইসলাম,রিফাদ রশীদ।