Published : 03 May 2025, 09:38 PM
মাদ্রাসার গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ‘ন্যূনতম যোগ্যতা’ নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ‘স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে’ বলা হয়েছে, দাখিল পর্যায়ের মাদ্রাসার সভাপতি পদে বসতে হলে স্নাতক বা ফাযিল ডিগ্রি থাকতে হবে।
আলিম পর্যায়ের মাদ্রাসার ক্ষেত্রে থাকতে হবে কামিল কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
এ যোগ্যতা অনুসারে সভাপতি মনোনয়ন করে মাদ্রাসাগুলোর এডহক কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুছ ছাত্তার মিয়া শনিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, “মাদ্রাসার অ্যাডহক কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিতে বলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। সে অনুযায়ী মাদ্রাসাগুলোকে অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। আর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে সভাপতি পদের যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
“কামিল ও ফাযিল পর্যায়ের মাদ্রাসার সভাপতি পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ইতোমধ্যে স্নাতকোত্তর নির্ধারণ করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।”
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আইউব হোসেন শনিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সম্প্রতি কামিল ও ফাযিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর বা কামিল নির্ধারণ করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ রেজিস্ট্রার ফাহাদ আহমদ মোমতাজী শনিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাসখানেক আগে সভাপতি পদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ২০ অগাস্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের অপসারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
একই দিন মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটির সভাপতিদের অপসারণ করে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর বেসরকারি স্কুল-কলেজ পরিচালনা অস্থায়ী বা এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
প্রজ্ঞাপনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা ফাযিল বা স্নাতক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
এইচএসসি ভোকেশনাল, এইচএসসি বিএমটি, ডিপ্লোমা ইন কমার্স এবং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে করা হয় স্নাতকোত্তর।
ওই প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘স্পষ্টীকরণ’ বিজ্ঞপ্তি দিল মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ দেওয়া গত ২৮ এপ্রিল, কিন্তু সেটি প্রকাশ পায় শুক্রবার।