Published : 03 May 2025, 03:31 PM
হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের হওয়া মামলা আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাহার চেয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
সরকারকে হুঁশিয়ারি করে সোহরাওয়ার্দীর মহাসমাবেশে মামুনুল হক বলেছেন, “আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হয় তাহলে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের যা করতে হয় তাই করবে।”
মামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ড. ইউনূসের সঙ্গে আমরা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন।
“কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। প্রফেসর ড. ইউনূস আপনি কি সেই কথা ভুলে গিয়েছেন, কয়েক মাস মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় ঘুরতেন।”
রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়েও অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে মামুনুল বলেন, “একটা বার্তা দিতে চাই। মনে রাখবেন, একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিন্ডির গোলামীর জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়৷ চব্বিশের জুলাইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউ ইউর্কের গোলামী করবার জন্য নয়।
“যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটরিয়ান করিডোরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারা দেশের মানুষের প্রতি আমার আহ্বান- যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও, দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।”
হেফাজতের এই নেতা বলেন, “বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে আমরা বলতে চাই, নারী সংস্কারের নামে আল্লাহর কোরআনকে, ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে। নারী বিষয়ক কমিশন এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রদান করেছে।”
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে মামুনুল বলেন, “হেফাজতে ইসলাম বলতে চায়, এই তথাকথিত পশ্চিমা ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী, বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ ও দর্শন নয় বরং হেফাজতে ইসলাম ইসলাম প্রদত্ত, আল্লাহ ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মাথায় এসে সংবিধানসহ রাষ্ট্রের ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংস্কার কার্যক্রম চলাকালে বহুত্ববাদের মতো বিতর্কিত, একত্ববাদবিরোধী কোনো ধারণা বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না।”