ফোরামের নিজস্ব ৬ হাজার ৩০১ জন সদস্য স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রস্তুতি নিয়েছে।
Published : 26 Dec 2023, 04:51 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছায় দুই শতাধিক পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসবেন বলে জানিয়েছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম।
আর ফোরামের নিজস্ব ৬ হাজার ৩০১ জন সদস্য স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা কমপক্ষে ২ শতাধিক আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন ফোরাম নেতারা।
মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা জানান সংগঠনের মুখপাত্র ও পরিচালক আব্দুল জব্বার খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “অতীতের ন্যায় এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এবং স্বেচ্ছায় দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসবেন।”
ইতোমধ্যে প্রায় ১৫টি আন্তর্জাতিক সংগঠন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করেছে।‘
আব্দুল জব্বার খান বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, ওএসসিইর সার্টিফায়েড নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ ১০ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পর্যবেক্ষণে আসবেন বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি। “
এছাড়া যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, ইরাক, জাপান, কংগো, ক্যামেরুন, থাইল্যন্ড, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী হয়ে স্বেচ্ছায় আবেদন করেছেন বলে জানান আব্দুল জব্বার খান।
তিনি বলেন, “ফোরামের সদস্য সংগঠনের ৬ হাজার ৩০১ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক কমপক্ষে ২ শতাধিক আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।“
সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নির্বাচনকে আরও ‘প্রাণবন্ত’ করে তুলবে।
“তাদের উপস্থিতি বহির্বিশ্বে নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।এই নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে না হলেও আমাদের মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ নির্বাচনমুখী,” বলেন জব্বার খান।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দেশে নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ভোটে আছে ২৭টি। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৫টি দল ভোট বর্জন করেছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে চলছে প্রার্থীদের প্রচার কাজ।
নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’ বলেও মনে করছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী বলেন, “আমরা মনে করছি নির্বাচনে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট হলে নির্বাচন স্বচ্ছ হবে।“
অন্যদের মধ্যে ইএমএফ সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ্ নেওয়াজ, ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক হাবিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।