আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের পাশাপাশি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় আরো দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Published : 01 Nov 2023, 12:01 PM
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগের এক নতুন মাইলফলকে পৌঁছাল বাংলাদেশ ও ভারত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসংযোগ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে রেলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার সকালে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের পাশাপাশি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় আরো দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় এ অনুষ্ঠানে।
এর মধ্যে খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত নির্মিত ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ মোংলা বন্দরের পণ্য পরিবহন আরো সহজ করবে।
আর বাগেরহাটের রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেন দুই নেতা; কয়লাভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
পুরো রেলপথটির দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশ পড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর হলেও কোভিডের সময়সহ নানা সংকটে পাঁচ বছর লেগেছে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে।
উদ্বোধনের পর প্রথমদিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তী সময়ে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই রেলপথের মাধ্যমে মোংলা বন্দরের পণ্য একদিকে যেমন দেশের মধ্যে কম খরচে পরিবহন করা যাবে; অন্যদিকে ভারত, নেপাল ও ভুটান এই পথ ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করবে। ফলে দক্ষিণের অর্থনীতির অগ্রগতিতে রেলপথটি বড় ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ ভারতের যৌথ মালিকানাধীন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নামেই পরিচিত। দুই ইউনিট মিলিয়ে ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। কয়লার অভাবে মাঝে কয়েক দফা বন্ধ হলেও কেন্দ্রটি এখন চালু রয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে।