“মালিকরা কি পকেট থেকে এনে টাকা দিবে? আগে বাস যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে,” বলেন এক শ্রমিক।
Published : 17 Feb 2025, 03:50 PM
কাউন্টারভিত্তিক বাস না চালানোর দাবিতে ঢাকার সায়েদাবাদে ফের সড়ক অবরোধ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
সোমবার দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জনপথ মোড়ের এই অবরোধের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, রাইদা পরিবহনের বাস সড়কে আড়াআড়ি করে রাখা হয়েছে। এতে অন্য যানবাহন চলতে পারছে না। শ্রমিকরা কাউন্টারভিত্তিক বাস চলাচল বাতিলের দাবি নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা দাবি করছেন, কাউন্টারে গাড়ি চালিয়ে গাড়ির খরচই উঠছে না। মালিকদেরও টাকা দেওয়া হচ্ছে না।
রাইদা পরিবহনের শ্রমিক রফিক বিডিনিউক টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাউন্টারে চলাচল শুরুর পর তারা এখনও বেতন পাননি।
“গত এক সপ্তাহ ধরে বাসের স্টাফরা কোনো বেতন পাচ্ছে না। বাসের মালিকরাও তাদের জমার টাকা পাচ্ছে না। মালিকরা কি পকেট থেকে এনে টাকা দিবে? আগে বাস যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। আমাদের দাবি না মানলে সায়েদাবাদ হয়ে কোনো গাড়ি চলতে পারবে না।”
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে অবরোধ প্রত্যাহার করতে শ্রমিকদের অনুরোধ করেন। এরপর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সড়ক থেকে তারা উঠে যান।
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি গোলাপি রঙের বাস চালু করা হয়েছিল। শুরু থেকেই ওই সেবার বিরোধিতা করছে বাস মালিক, শ্রমিকদের একটি অংশ।
কেবল কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারিও ঢাকার সায়দাবাদ এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একদল বাস শ্রমিক।
সেদিন দুপুর ১২টার পর থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত জনপদ মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে সায়দাবাদ ও আশপাশের এলাকায় প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন সেদিন বলেছিলেন, বলাকা ও তুরাগ পরিবহনের শ্রমিকরা কাউন্টার পদ্ধতিতে বাস চালাতে অসহযোগিতা করছে।
“তারা বলছে, তাদের বেতন কম। কাউন্টারে চালালে এলোমেলো করতে পারে না। যেখানে-সেখানে যাত্রী তুললে টাকা বেশি পায় তারা। এই কারণে তারা কাউন্টারে চালাবে না, কাউন্টারে চালালে তাদের (বেতনের) টাকা বেশি দিতে হবে।”
ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে গাজীপুরের যেসব বাস চলে, সেগুলোর কাউন্টার পদ্ধতির পরিষেবা করেছিলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেছিলেন, ঢাকার ভঙ্গুর ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার প্রথম পদক্ষেপ এটি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো রুটে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
“ঢাকা বিমানবন্দরে কোনো বিদেশি নাগরিক নামলেই আমাদের বিশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা চোখে দেখে। একটি বাস আরেক বাসকে গরু-মহিষের মতো গুতাগুতি করে। এগুলো নিয়ে ট্রল হয়।”