নোনা পানি প্রবেশের ফলে শত শত গ্রামে চিংড়ির ঘের ও ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে, বলছে বাপা।
Published : 01 Jun 2024, 10:09 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে নোনাজল প্রবেশ করে শত শত ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা।
পরিবেশ বিষয়ক এই সংগঠনটির নেতারা বলছেন, নোনাজল ঢুকে মিষ্টিজলের আধারগুলো নষ্ট হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত এসব নোনা জল অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী খাদ্য নিরাপত্তা: আশু করণীয়” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে বাপা।
পরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির জাতীয় কমিটির সদস্য গওহর নঈম ওয়ারা বলেন, “রেমালের আঘাতে খুলনা অঞ্চলের তিন জেলায় ৬১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং বরিশাল অঞ্চলে কমপক্ষে ৪০০ জায়গায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন মওসুম ধরতে হলে মাঠ ও জলাশয় থেকে দ্রুত নোনাজল বের করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
“১৯৯১ সালের সাইক্লোন ও ২০০৭ সালের সিডরের পর এটা করা হয়েছিল। এরপর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ছিঁড়ে যাওয়া বাঁধগুলো মেরামত করতে হবে। প্রয়োজনে বর্তমান নীতি কৌশল পরিবর্তন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চরফ্যাশন মডেল নিয়েই এগোতে হবে।”
গওহর নঈমের ভাষ্য, “ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংলগ্ন নিচু লোকালয়ে নোনা পানি প্রবেশের ফলে শত শত গ্রামে চিংড়ির ঘের ও ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। নোয়খালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের বহু জায়গায় মিষ্টিজলের আধারেরও ক্ষতি হয়েছে।”
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, “ঘূর্ণিঝড় আইলার চেয়েও রেমালের ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ, যা আস্তে আস্তে প্রত্যক্ষ হচ্ছে। মানুষের ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, সুন্দরবন ও সুন্দরবনের পশু ও জীববৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সেখানে সুপেয় পানির অভাব ও গবাদি পশুর জীবননাশের ঝুঁকি রয়েছে। এ সব সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতা থাকা প্রয়োজন।”
যুগ্ম সম্পাদক নূর আলম শেখ বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমন ধান চাষ, পাট ও শাক সবজি চাষে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। উপকূলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে।”