ফেন্সিডিলের বিকল্প ‘ফেন্সিগ্রিপ’ আসছে, ঢাকায় গ্রেপ্তার ১

এর আগে যশোরে নিষিদ্ধ কোডেইনযুক্ত এ সিরাপ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2023, 08:41 PM
Updated : 5 Feb 2023, 08:41 PM

যশোরের প্রায় তিন সপ্তাহ পর ঢাকাতেও নেশার জন্য ব্যবহৃত নিষিদ্ধ সিরাপ ‘ফেন্সিগ্রিপ’ উদ্ধার করেছে পুলিশ; যেটি ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসেবে দেশে ঢুকছে বলে জানাচ্ছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, ফেন্সিডিলের মতই এর মূল উপাদান কোডেইন বলে বোতলের গায়ে লেখা রয়েছে।

রোববার ঢাকার কল্যাণপুর থেকে ১৫ বোতল ফেন্সিগ্রিপসহ একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় মিরপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রাশেদুল মোমেন রানা (৪৩)। তার বাড়ি দিনাজপুর সদরের ছেড়াডাঙ্গী গ্রামে।

এ থানার ওসি মো. মহসিন জানান, রোববার রাতে ৮টার দিকে কল্যাণপুরের মিজান টাওয়ারের সামনে থেকে ওই ব্যক্তিকে ফেন্সিগ্রিপসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা পুলিশকে জানিয়েছেন, ভারতে ফেন্সিগ্রিপ সিরাপটি ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসেবেই চলে। বাংলাদেশে এখনও সেভাবে প্রচলিত হয়নি। নাম ভিন্ন হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ আটক হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। যে কারণে দিনাজপুর সীমান্ত থেকে এসব ফেন্সিগ্রিপ এনে তিনি ঢাকায় বিক্রি শুরু করেছেন।

ওসি বলেন, এসব মাদকের গায়ে ফেন্সিগ্রিপ লেখা। বোতলের গায়ে এর মূল উপাদান হিসেবে কোডেইন ফসফেট লেখা আছে, যা ফেন্সিডিলের উপাদান হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি নিজেদের ফেইসবুক পাতায় যশোর থেকে ফেন্সিগ্রিপ সিরাপ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সংস্থার কর্মকর্তারা বলেন, ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসেবেই দেশে আসছে ভারতে তৈরি এ ফেন্সিগ্রিপ।

মাদক আইন অনুযায়ী দেশে কোডেইন উপাদানে তৈরি সিরাপ নিষিদ্ধ। তবে ভারতে তা তৈরি হচ্ছে। ফেন্সিডিলের মত ফেন্সিগ্রিপ সিরাপও তৈরি হচ্ছে প্রতিবেশী দেশটির হিমাচল প্রদেশে।

বাংলাদেশে উদ্ধার হওয়া ফেন্সিগ্রিপের মোড়কের ফ্ল্যাপে লেখা রয়েছে, উত্তরখান্ড প্রদেশের ব্লুজোন হেলথকেয়ার নামের কোম্পানিটি হিমাচল প্রদেশের স্মাইলেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে কোডেইনভিত্তিক সিরাপটি তৈরি করে বিক্রি করছে।

মহামারীর কারণে কিছুদিন ফেন্সিডিলের চোরাচালান ব্যাহত হয়। ঢাকার বাজারে একেক বোতল ফেন্সিডিল আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, উচ্চমূল্যের কারণে নেশাসক্তরা বিকল্প হিসেবে ফেন্সিগ্রিপ খুঁজে নিচ্ছে; এটির দাম কিছু কম।