ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণে দগ্ধ নয় বছরের শিশু সোহাগকেও বাঁচানো গেল না।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয় বলে সেখানকার আবাসিক চিকিৎসক এসএম আইউব হোসেন জানান।
দশ দিন আগে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় সোহাগের শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। একই ঘটনায় গত ১৫ মে সোহাগের বাবা শরিফুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর ১৬ মে রাতে গুদাম মালিক মো. বিল্লাল হোসেন (৩৬) এবং তার কর্মচারী নূর নবী (২২) নামে দগ্ধ দুজনের মৃত্যু হয়।
বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হলো। মাহবুব (৩৫) নামে দগ্ধ আরেকজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। তার শরীরের ২৬ শতাংশ পুড়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গত ১৩ মে শনিবার সকালে ফ্যান্টাসি কিংডম সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকার একটি টিনশেড গুদামে বিস্ফোরণ হয়। ভয়াবহ সেই বিস্ফোরণের গুদামের দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই ঘটনায় গুদামের মালিকসহ দগ্ধ পাঁচজনকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখান থেকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন একের পর এক চারজনের মৃত্যু হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর ওয়ালি উল্লাহ জানিয়েছিলেন, ওই গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদের পাশাপাশি অবৈধভাবে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করা হত।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাও বলেছেন, আবাসিক এলাকার মধ্যেই বাসা ভাড়া নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ ও রিফিল করা হত। এটি বিল্লালের গুদাম নামে পরিচিত ছিল। আশপাশে এরকম আরও গুদাম রয়েছে, যেখানে রাতের বেলায় রিফিল করা হয়।
আরও পড়ুন-