সোশাল মিডিয়ার নানা মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন কোনো গুজব ছড়াতে না পরে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
Published : 06 Oct 2024, 03:49 PM
বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতে দর্শণার্থীদের ব্যাগ, থলে বা পোটলা নিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রোববার এক বার্তায় এ অনুরোধ জানিয়ে পূজা ঘিরে সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকাসহ কয়েকটি পরামর্শও দেওয়া হয়েছে এ বাহিনীর পক্ষ থেকে।
গত ২ অক্টোবর মহালয়ায় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।এরপর ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী ও ১২ অক্টোবর নবমী এবং ১৩ অক্টোবর দশমী শেষে হবে দেবী বিসর্জন।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়, যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে। তবে দুর্গাপূজা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশের যত পরামর্শ
>> সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন-ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ব্লগ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন কোনো অমূলক ঘটনা বা গুজব সৃষ্টি করে কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হলে পুলিশকে অবিলম্বে অবহিত করতে হবে।
>> পূজামণ্ডপে আসা নারী ও পুরুষ দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা করতে হবে।
>> পূজামণ্ডপে কোনো ব্যাগ, থলে বা পোটলা নিয়ে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
>> মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন করতে হবে।
>> গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে গেইট স্থাপন করতে হবে।
>> পূজামণ্ডপে এবং প্রতিমা বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা এবং সম্ভব হলে 'স্ট্যান্ডবাই' জেনারেটর অথবা হ্যাজাক লাইটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
>> পূজা চলাকালে আতশবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
>> পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে তাদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও ‘স্বেচ্ছাসেবক’ লিখিত আর্মড ব্যান্ড প্রদান করতে হবে।
>> প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রার নির্ধারিত রুট ব্যবহার করতে হবে।
পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমের ০২২৩৩৮০৬৬১, ০২২৩৩৮১৯৬৭, ০১৩২০০০১২৯৯, ০১৩২০০০১৩০০ নম্বর দেওয়া হয়েছে বার্তায়।
জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কন্ট্রোল রুম: ০২২২৩৩৫৫৫০০, ০১৮১৭৬০২০৫০ এ যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকেশ্বরী মন্দির সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম: ৯৬১১৩৫৩, ০১৭০৫৫০৫৫২৯; র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কন্ট্রোল রুম: ০১৭৭৭৭২০০২৯; ফায়ার সার্ভিস সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম: ০২২২৩৩৫৫৫৫৫, ০১৭১৩০৩৮১৮১, ০১৭১৩০৩৮১৮২, ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯ নম্বরেও যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান হয়।
জেলা পুলিশ সুপার ও থানার ওসির সাথে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট (www.police.gov.bd) থেকে নম্বর সংগ্রহ করার জন্য বলা হয় বার্তায়।
পাশাপাশি যে কোন প্রয়োজনে যে কোন ও সময় অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।