দুদক সংস্কারে ৪৭ সুপারিশ কমিশনের

মোটা দাগে দুই ধরনের সংস্কারের সুপারিশ রেখে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, বলেন ইফতেখারুজ্জামান।

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদককে স্বাধীন ও কার্যকর করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে ৪৭ দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এ বিষয়ে গঠিত সংস্কার কমিশন।

এই প্রতিবেদন বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, মোটা দাগে দুই ধরনের সংস্কারের সুপারিশ রেখে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

“যার একটিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সরাসরি সংস্কার; আরেকটিতে রয়েছে এই সংস্কার কার্যকর করার জন্য পুরো রাষ্ট্রকাঠামোয় পরিবর্তন আনার সুপারিশ।”

ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রথম ধাপে বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে ছয় কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।

তার মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

আট সদস্যের এই কমিশন গত ৩ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করে।

জাতীয় দুর্নীতি বিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের কথাও সংস্কার কার্যক্রমে থাকবে বলেছেন ইফতেখারুজ্জামান। তবে সংস্কার প্রতিবেদনের বিস্তারিত জানাননি তিনি।

কমিশনের এক সদস্য বলেছেন, প্রতিবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ আইন সংশোধন এবং যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে বেতন ও আনুষঙ্গিক সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ থাকতে পারে। সংস্থাটির মর্যাদা বাড়ানোর বিষয়েও সুপারিশ থাকতে পারে প্রতিবেদনে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে প্রবল আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেড় দশক ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন, ‘গুম’ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে।

এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে আর যে কর্তৃত্ববাদী শাসন ফিরতে না পারে সে জন্য ক্ষমতায় ভারসাম্য আনাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের দাবি আসে।

অন্তর্বর্তী সরকার অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।