এবার কোরবানির ঈদের সময় লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে কোনো নিষেধ থাকছে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ঈদুল আজহা সামনে রেখে বুধবার সচিবালয়ে ‘সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা’ সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “লঞ্চে অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে বলেছি, এটা যতটুকু পারা যায় অ্যাডজাস্ট করার জন্য। মোটরসাইকেল লঞ্চে করে পারাপারের ক্ষেত্রে মালিকদেরকেও বলেছি।”
অন্যান্য বছর ঈদের সময় লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর লঞ্চে যাত্রী গেছে কমে। ঈদেও আগের মত যাত্রীর চাপ থাকছে না। অনেকেই মোটরসাইকেলে করে সড়কপথে বাড়ির পথ ধরছেন।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির কারণে সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যা গত রোজার ঈদের সময় তুলে নেওয়া হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে, গত রোজার ঈদে যত মানুষ যাতায়াত করেছেন, তাদের ১৮.২ শতাংশই ভ্রমণ করেছেন মোটরসাইকেলে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “যদি বরিশাল, মাদারীপুর বা দক্ষিণাঞ্চলে একা যান, আপনি নিশ্চিত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবেন। আর সঙ্গে যদি পাঁচজন থাকে, সবাইকে তো মোটরসাইকেলে তুলতে পারবেন না। সেখানে যদি মোটরসাইকেল নিতে চান তাহলে আপনাকে বিকল্প একটা ব্যবস্থায় নিতে হবে। হয়ত বাসের ছাদে অথবা লঞ্চে করে নিতে হবে, সে ব্যাপারে আমরা অ্যাডজাস্ট করব।”
তাহলে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে– বিষয়টা এ রকম কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "বলতে পারেন।"
তিনি বলেন, ঈদের আগের ৩ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে ৩ দিন ফেরিতে পচনশীল পণ্য এবং কোরবানির পশু ছাড়া অন্যান্য পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে।
ঈদে নৌপথের ভাড়া আগের মতই থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।