নির্মল রোজারিও বলেন, “উপদেষ্টারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু বিচারের ভরসা পাচ্ছি না।”
Published : 11 Aug 2024, 05:47 PM
সরকার পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য জানতে চান সম্প্রদায়টির নেতারা।
রোববার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে একথা বলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আগের দুদিন শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করলেও এদিন তারা সেটি করেননি। ফলে শাহবাগ মোড়ের চারপাশের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সমাবেশে কাজল দেবনাথ বলেন, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে হামলা হচ্ছে, তা থামানোর জন্য ড. ইউনূস সাহেব এখনো কোনো কথা বলেননি। যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন, সেই বৈষম্য তো রয়েই গেল।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তিনি বলেছেন, সবকিছু ঠিকঠাক করতে আরও ৪-৫ দিন সময় লাগবে। কিন্তু এই ৪-৫ দিনের মধ্যে বড় কিছু ঘটে গেলে তার দায়ভার কে নেবে? এই মুহূর্তে পুলিশ নাই, কিন্তু সেনাবাহিনী তো আছে।”
সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য নির্মল রোজারিও বলেন, গত ৫ অগাস্ট থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায় তথা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি, উপাসনালয় ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।
“৫ অগাস্টের পর থেকে নানা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারীরা হামলা করছে। উপদেষ্টারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু বিচারের ভরসা পাচ্ছি না। এই যে নতুন স্বাধীনতার কথা বলা হচ্ছে, দুষ্কৃতিকারীরা সেই স্বাধীনতা নষ্ট করে দিচ্ছে।”
এর আগে শনিবার বিক্ষোভকারীরা চার দফা দাবি পেশ করেন। সেগুলো হল-
১. সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।
২. সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে।