বিকাল সোয়া ৪টায় কমলাপুর ছাড়ে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস।
Published : 18 Nov 2024, 05:04 PM
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে যে অবরোধে নেমেছিলেন তা প্রত্যাহার করা হয়েছে ৫ ঘণ্টা বাদে।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রুহুল কবির খান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করার পর সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছে। বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে জানান হবে।"
বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার বলেন, “বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক আটকে থাকার কারণে সৃষ্টি হওয়া গাড়ির তীব্র জটলা সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।”
অবরোধ প্রত্যাহারের পর বিকাল সোয়া ৪টায় অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস কমলাপুর ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান।
এদিন বেলা ১১টায় মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার এবং রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হন। অবরোধ চলাকালে কুর্মিটোলা থেকে বনানী পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া বনানী থেকে তেজগাঁও, তেজগাঁও থেকে বনানী, মহাখালীর আমতলী থেকে জাহাঙ্গীর গেইট এবং মহাখালী থেকে গুলশান পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এসময় যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
এ কর্মসূচি চলার মধ্যে একটি ট্রেনে ঢিল ছোড়ায় শিশুসহ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নিয়ে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দেখে উপকূল এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার ব্রেক কষেন। তবে ট্রেনটি থামে অবরোধস্থল পার হওয়ার পর।
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা রেল লাইন থেকে সরে যাওয়ায় অল্পের জন্য তারা প্রাণে বেঁচে যান। ততোক্ষণে কেউ কেউ ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। তাতে শিশুসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, বেলা পৌনে ১২টার দিকে নোয়াখালী থেকে আসা উপকূল এক্সপ্রেস মহাখালী পার হচ্ছিল। এ সময় আন্দোলনকারীরা ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করলে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
“তারা ট্রেনে পাথর মারে। এতে পাঁচটি কোচের জানালার ২৯টি কাঁচ ভেঙে যায়। আর কয়েকজন যাত্রী আহত হন। আহতদের আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।"