পরে নথিগুলো ওই কার্যালয়ে হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানিয়েছেন এ দুই আইনজীবী।
Published : 12 Aug 2024, 04:41 PM
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দপ্তর থেকে নথি ‘সরানোর চেষ্টা’ ঠেকানোর কথা বলছেন দুই আইনজীবী।
ট্রাইব্যুনালে ডিফেন্স কাউন্সেল (আসামিপক্ষের আইনজীবী) হিসেবে কাজ করা গাজী এম এইচ তামিম এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলছেন, সোমবার নথি সরানোর চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়ে সেগুলো ওই কার্যালয়ে হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করেছেন তারা।
তামিম সাংবাদিকদের বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু ডকুমেন্ট কিছু লোকজন নিয়ে যাচ্ছে খবর পেয়ে আমি এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস এবং প্রসিকিউশন অফিসে গেলাম।
“সেখানে জানতে পারলাম এ রকম কিছু ঘটনা ঘটেছে। সাথে সাথে আমরা থামালাম এবং ডকুমেন্টগুলো যার যার রুমে পাঠিয়ে যিনি অফিসের দায়িত্বে আছেন (আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা) তার কাছে চাবি রেখে এসেছি। বলেছি এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সরকারের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে কোনো নথি বের হবে না বা ঢুকবে না।”
আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, “ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার অফিসের নথিও সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা যেন নিয়ে না যান, এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি।”
ট্রাইব্যুনালের ৪ প্রসিকিউটরের পদত্যাগ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন প্যানেল থেকে চারজন প্রসিকিউটর পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার প্রসিকিউশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানা এ কথা জানান।
পদত্যাগকারী চার প্রসিকিউটর হলেন শাহিদুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, রেজিয়া সুলতানা চমন ও আলতাফ উদ্দিন আহম্মেদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে এক করে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নামে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ চলছে।
প্রবল গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্রজনতার দাবির মুখে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চলছে।
প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি ছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেল এবং তার কার্যালয়ের ৬৭ জন ইতোমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন।