রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল।
Published : 07 May 2024, 07:35 PM
ঢাকার আফতাবনগরে স্কুল শিক্ষার্থী একেএম মনজিল হক হত্যা মামলায় তার সৎ মা ও ভাইসহ ছয়জনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছে আসামিপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন তাদের আইনজীবী রেজাউল করিম।
এ দিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৪ জুন যুক্তিতর্কের পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের আদালতে দেওয়া সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আসামিদের খালাসের পক্ষে যুক্তি দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান আশা করছেন ২০১৭ সালের খুনের এ ঘটনার রায় আগামী জুলাই মাসের মধ্যে হবে।
মনজিল হকের সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হকসহ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-মনজিলের সৎ মা এর ভাই আবু ইউসুফ নয়ন, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (যিনি পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে সিআইডির তদন্তে উঠে আসে), রবিউল ইসলাম সিয়াম, মাহফুজুল ইসলাম রাকিব ও সীমান্ত হোসেন তাকবীর।
শেষের তিনজনকে ‘ভাড়াটে খুনি’ হিসেবে শনাক্ত করে হত্যাকাণ্ডের সাড়ে তিন বছর পর ২০২১ সালের জুনে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আসামিদের মধ্যে মাহফুজুল অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে চলছে।
আসামিদের মধ্যে ইয়াসিন ও সিয়াম কারাগারে এবং তাকবীর জামিনে আছেন। অন্য তিন আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক।
গত ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। ওই দিন সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এ মামলায় ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর আফতাব নগরে নিজের বাসায় খুন হন মনজিল হক। তার সৎ ভাই ইয়াসিন হক সেদিনই নিখোঁজ হয়েছিলেন।
ওই ঘটনায় চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৮ সালের ২৪ মার্চ সিআইডি মামলার তদন্তভার নেয়।
সিআইডির তদন্তে উঠে আসে সৎ মা, সৎ মামা ও সৎ ভাই এবং মামলার বাদীই হত্যাকাণ্ডের হোতা। সম্পত্তির লোভে তারা মনজিলকে হত্যা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হত্যার শিকার মনজিল হকের বাবা মইনুল হক মনা ও ফারুক মিয়া আপন ভাই। তারা এক সঙ্গে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করতেন। রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের পেছনে মনার ছেলে মনজিল ও ইয়াসিন এবং ফারুকের ছেলে একেএম নেওয়াজের নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল।
অভিযোগে বলা হয়, মনা ফ্ল্যাটটি তার ছেলেদের দিয়ে দলিল করিয়ে বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে মনজিলের বাবার সঙ্গে ফারুকের দ্বন্দ্ব ছিল। মনার মৃত্যুর পর তাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে মনজিল। ওই ক্ষোভ থেকেই মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনায় ভাতিজা ইয়াসিনের সঙ্গে চাচা ফারুক মিয়াও যোগ দেন।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক মো. শামসুদ্দিন।
আরও পড়ুন