“অযোগ্যতার বিষয়টি আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হলে দূষণ, দখল অনেক কমে যাবে,” বলেন এইচআরপিবি প্রেসিডেন্ট।
Published : 05 Mar 2025, 05:27 PM
নদী দখল ও দূষণকারীদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করতে নির্বাচনি আইনে (আরপিও) সংশোধনী আনার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবি।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা এই দাবি তুলে ধরেন।
এইচআরপিবি প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের বিষয়ে পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, “দেশে যত নদ-নদী রয়েছে…আমরা পরিবেশ রক্ষায় আইনি লড়াই করছি। একটি আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে, ‘নদী দখলকারী ও দূষণকারী যারা হবে তারা নির্বাচনে অযোগ্য হবে এমন মতামত দিয়েছে’।”
“সামনে নির্বাচন রয়েছে। আমরা কমিশনের কাছে আবেদন দিয়েছি, আরপিও সংশোধন করে একটা বিধান সংযোজন করা যে, যারা নদী দূষণকারী ও দখলকারী যারা হবে তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হবে। নদী দূষণকারী ও দখলকারী কারা ইতোমধ্যে নদী রক্ষা কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কয়েক হাজার নদী দূষণকারী দেশে আছে, ওয়েবসাইটে তালিকা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “অযোগ্যতার বিষয়টি আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হলে দূষণ, দখল অনেক কমে যাবে। ঋণখেলাপীরা একসময় নির্বাচন করতে পারতেন। পরে আইন সংশোধন করে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।”
এইচআরপিবির প্রস্তাবের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন একমত পোষণ করেছে বলে জানান সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “তারা (ইসি) বলেছে, এটা অবশ্যই পরিবেশের জন্য ভাল হবে। কিন্তু এখানে আইনের সংশোধনের প্রয়োজন আছে। সংশোধন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তারা চেষ্টা করবেন।”
এইচআরপিবির প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এখলাস উদ্দিন ভুঁইয়া ও এএইচ এম ইমরুল কাওসার।
পুরনো খবর-
আইন পর্যালোচনায় বসছে ইসি, নজর ঐকমত্য কমিশনের দিকে
সীমানা নির্ধারণ আইনের 'জটিলতা' কাটাতে সংশোধন প্রস্তাব পাঠাবে ইসি
৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচনে কমিশনের সুপারিশ
নির্বাচন সংস্কার: গণভোট ও প্রতিনিধি প্রত্যাহার ব্যবস্থার প্রস্তাব