“কেবল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই নয়, খ্রিষ্টান, আহমদিয়া এবং ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর উপরও হামলা হয়েছে”, বলেছে আরআরএজি।
Published : 18 Sep 2024, 10:32 PM
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৬ দিনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় এগারোশ বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলার অভিযোগে তদন্তের দাবি জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগপত্র দিয়েছে ভারতের দিল্লিভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপ (আরআরএজি)।
গত ১২ সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে বুধবার এই অভিযোগ দেওয়ার কথা জানায় সংগঠনটি।
আরআরএজির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথম আলো কমপক্ষে এক হাজার ৯০টি ঘটনার নথিবদ্ধ করেছে। যার মধ্যে এক হাজার ৬৮ বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ২২টি মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি দুজন সংখ্যালঘু ব্যক্তি খুন হয়েছেন।
প্রতিবেদনে খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২৯৫টি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনার কথাও তুলে ধরা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
যে দুজন নিহতের ঘটনা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বাগেরহাট সদরের রাখালগাছি ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক মৃণাল কান্তি চট্ট্যোপাধ্যায় ৫ অগাস্ট মারধর ও ছুরিকাঘাত প্রাণ হারিয়েছেন। খুলনার পাইকাগাছার স্বপন কুমার বিশ্বাস ৮ অগাস্ট বাড়ি ফেরার পথে নির্যাতনে খুন হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেবল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই নয়, খ্রিষ্টান, আহমদিয়া এবং ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর উপরও হামলা হয়েছে।
আরআরেএজির পরিচালক সুহাস চাকমাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “জবাবদিহিতা, আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অবশ্যই এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তদন্ত করতে হবে।”
হামলার শিকার প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করে নিহত মৃণাল কান্তি চট্ট্যোপাধ্যায় ও স্বপন কুমার বিশ্বাসের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়।
প্রয়োজনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট বা অন্য কোনো আঞ্চলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান থেকে কারিগরি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে আরআরএজি।