তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়া ‘বাধাগ্রস্ত করার দায়ভার মাথায় নিয়ে’ আইন উপদেষ্টার ‘প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার’ দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
Published : 03 Feb 2025, 01:24 AM
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার এবং ‘দাবি আদায়ে বাধা সৃষ্টির’ অভিযোগে আইন উপদেষ্টার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরার পাশপাশি আগামী দিনের কর্মসূচির কথাও তারা ঘোষণা করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত দফা আদায়ে তাদের অনশন এবং 'বারাসাত ব্যরিকেড টু নর্থ সিটি' অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অনির্দিষ্টকালের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের কর্মসূচি 'তিতুমীর কলেজ শাটডাউন'ও চলবে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের প্লাটফর্ম 'তিতুমীর ঐক্যের' উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার বলেন, "সোমবার সকাল ১১টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি অব্যাহত থাকবে।
"যতদিন দাবি আদায় না হবে, ততদিন প্রশাসনিক কাজ, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, কলেজে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।"
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তার বলেন, "তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার দায়ভার মাথায় নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”
এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলেজের সামনে থেকে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ ব্যানারে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
তারা আমতলী এলাকায় গিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এক ঘণ্টা অবরোধ শেষে আবার মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের সামনে এসে সড়কে বসে পড়েন।
এদিন দুপুরে একনেক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যে দাবি, সেটিকে তিনি ‘বিশেষ বিবেচনা’ করেননি।”
গেল ২৭ জানুয়ারি রাতে ‘তিতুমীর ঐক্যর তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠনে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে অবরোধের ঘোষণাও দেওয়া হয় তখন।
ওই রাতেই ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে কলেজের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্যর’ সাত দফার মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ; ‘বিশ্ববিদ্যালয়’প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা এবং শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা কিংবা শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করা।