দস্তগীর গাজীর স্ত্রী ও শম্ভুর ছেলের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছে দুদক।
Published : 25 Aug 2024, 06:03 PM
সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ সাত জনের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজী ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে শনিবার গভরি রাতে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে জমি জবরদখল করে কারখানা স্থাপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী হাসিনা গাজীকে পৌরসভা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে দুই বিএনপি কর্মী ও একজন যুবদল নেতা নিহতের ঘটনায় তিন মামলার আসামির তালিকায় নাম রয়েছে সাবেক এই আমলার।
বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, বরগুনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডিসহ ঠিকাদারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে টেন্ডারবাজি করে বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন তিনি।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপরাজনীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের পাঁচবারের সংসদ সদস্য শম্ভু সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অবশ্য হেরে যান।
এছাড়া ময়মনসিংহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ এবং বরিশাল-২ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত এবং নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, টেন্ডারবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা'র সরকারি অর্থ আত্মসাত করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।