সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও বক্তব্য রাখবেন নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা।
Published : 25 Jan 2025, 11:17 PM
আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে ভূ-রাজনীতি, পানি ব্যবস্থাপনা ও সমুদ্র সম্পদের ভবিষ্যতের স্থায়িত্ব নিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং আলোচনাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের ১০ম আসর বসছে পটুয়াখালীর সৈকত এলাকা কুয়াকাটায়।
দুইদিনের এই আয়োজন রোববার থেকে শুরু হচ্ছে; সম্মেলনের এবারের আসরের স্লোগান হল- ‘পানির ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্রের ভবিষ্যৎ’
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘একশনএইড বাংলাদেশ’ আয়োজিত এবারের সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশসহ আন্ত:সীমানা পানি ও নদী নিয়ে চলমান ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্রের বিদ্যমান সংকট, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন।
শনিবার আয়োজক সংস্থা একশনএইড এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখবেন।
দেশ-বিদেশের যুবক, নারী, অ্যাকাডেমিক, গবেষক, নীতিনির্ধারক, বেসরকারি সংস্থা-এনজিও, দাতা সংস্থা ও বাস্তবায়নকারীদের সম্পৃক্ত করে পানি ব্যবস্থাপনা, নদী শাসন এবং পানি ও সমুদ্রের ভবিষ্যতের স্থায়িত্ব নিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হবে এবারের সম্মেলনে। এছাড়া এসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে জোর দেওয়া হবে।
পাশাপাশি পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, ন্যায়সংগত বণ্টন এবং পানি ও সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত এবং সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতের তাগিদও থাকবে সম্মেলনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য থাকবে পানি, নদী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনীমূলক সমাধান চিহ্নিত ও প্রচার করা, পানি ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ন্যায়সংগত ও ন্যায্যতার দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করা।
রোববার সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘তিস্তা ও সীমান্তবর্তী নদীসমূহের ভবিষ্যৎ’, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও স্থানীয় উদ্ভাবন’, ‘জলবায়ু ভবিষ্যৎ’, ‘পানি অর্থায়ন এবং পানি কূটনীতির ভূমিকা’ নিয়ে আলোচনা হবে।
পানির নায্য বণ্টন নিশ্চিত করে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে।
সোমবারের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ‘পানি ব্যবস্থাপনায় নারীবাদী দৃষ্টিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্ষমতার সম্পর্ক মূল্যায়ন’, ‘পানি বিষয়ক শিক্ষাকে মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ’, ‘সহযোগিতার ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্র ও পানিসম্পদ রক্ষার মত বিষয়গুলো।
সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ এবং প্রস্তাবনাগুলো পরবর্তীতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণী তুলে ধরা হবে।
দেশের পানিসম্পদ ও তার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মানুষের চিন্তার প্রসার, পানি নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ, বিভিন্ন ধরনের সংলাপকে উৎসাহিত করা, পানি নিয়ে একত্রে কাজ করতে জোট গঠন, আন্তঃসীমান্ত কার্যক্রমে উৎসাহ দিতে ২০১৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন আয়োজন করে আসছে একশনএইড বাংলাদেশ।