রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
Published : 20 Jan 2025, 12:03 AM
ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির আলোচিত অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের ভাই ও প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম শাহরিয়ারের দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
রোববার দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শাহরিয়ারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সংস্থার উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন আদালতে আবেদন করেন। শুনানির আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, শাহারিয়ার ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজাত ৬০৪ টাকা মূল্যের ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখেছেন। হারুন অর রশীদ ডিএমপি ডিবি প্রধান হিসেবে কর্মরত থাকায় অবস্থায় ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ মাধ্যমে তাকে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, শাহারিয়ার সপরিবারে দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি যেন পালাতে না পারেন সে জন্য তার ইমিগ্রেশন বন্ধ রাখতে আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি এ বি এম শাহরিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেয় আদালত।
ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে হারুন, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক।
মামলায় সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা, তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ও হারুনের ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তার আগে ২২ অক্টোবর হারুন অর রশীদ ও তার পরিবারের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে দেশের সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
সেখানে হারুন ছাড়াও তার মা-বাবা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়।
এরও আগে হারুন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
২৪ অক্টোবর ডিবির হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক সমন জারি করেছিলেন। কিন্তু তিনি হাজির হননি।
গত বছর ২৭ আগস্ট হারুন ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার আদালত।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত এই হারুন।
২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিএমপির ডিবিপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন হারুন অর রশীদ।
গণ-আন্দোলনে সরকার পতনের চার দিন আগে গত ৩১ জুলাই তাকে সেখান থেকে সরিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) দায়িত্ব দেওয়া হয়। সরকার পতনের পর তার খোঁজ নেই।