“যেহেতু আইনি বিষয়, তাই আমাদের নিয়োগ নিশ্চিত করার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেননি তারা। তবে আমাদের বিষয়ে তারা আন্তরিক,” বলেন প্রধান সমন্বয়কারী ইয়াছিন।
Published : 11 Feb 2025, 08:23 PM
শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসা প্রথম থেকে দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।
আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম ‘এনটিআরসিএ নিবন্ধিত (১-১২তম) নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের’ প্রধান সমন্বয়কারী জি এম ইয়াছিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিয়োগ নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
“যেহেতু আইনি বিষয়, তাই আমাদের নিয়োগ নিশ্চিত করার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেননি তারা। তবে আমাদের বিষয়ে তারা আন্তরিক। ফলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।”
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে সনদ অনুযায়ী শিক্ষক-প্রভাষক পদে নিয়োগে সুপারিশের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। প্রথম থেকে দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তারা নিয়োগ পাননি। ইতোমধ্যে তাদের সনদের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, পরীক্ষার সময় শিক্ষক নিবন্ধনের সনদের মেয়াদ আজীবন থাকলেও আপিল বিভাগের রায়ে তা তিন বছর নির্ধারিত হয়। ফলে তাদের সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। যে কারণে উত্তীর্ণ হলেও তারা নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ার আবেদন করতে পারছেন না।
এনটিআরসিএ এই নিবন্ধিতরা শিক্ষক ও প্রভাষক পদে নিয়োগের দাবি করে সোমবার শাহবাগে অবস্থান নেন। সেইসঙ্গে তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল বাতিলে বাদ পড়া নিয়োগপ্রত্যাশীরাও সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। অবরোধকারী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরপর দাবি আদায়ে মঙ্গলবার থেকে শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিলেন নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ও ১০ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিবন্ধিত আব্দুর রহীম আকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আন্দোলন স্থগিত করায় তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
“প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ সবাইকে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। বৈধ সনদধারী হয়েও আমাদের চাকরি হয়নি। কিন্তু জাল-সনদ নিয়ে হাজার হাজার লোক শিক্ষকতা করছেন।”
এই নিয়োগপ্রত্যাশী বলেন, “যখন আমাদের নিবন্ধন পরীক্ষা হয়েছিল তখন সনদের মেয়াদ ছিল আজীবন। কিন্তু সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আপিল বিভাগের একটি রায় এনে সনদের মেয়াদ তিন বছর করেন। ফলে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তিতে আমরা আবেদন করতে পারিনি।”
আরও পড়ুন-
শিক্ষক পদে নিয়োগ নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগে নিবন্ধিতদের অবস্থান