ঈদের দিন বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকবে।
Published : 09 Apr 2024, 11:45 AM
মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আর মাঝেমধ্যে বৃষ্টি- চৈত্রদিনে আবহাওয়ার এমন রূপ অস্বাভাবিক নয়। এবার ঈদুল ফিতরের দিনটিও কেটে যাবে রোদ-গরমে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও তাতে খুব একটা স্বস্তি মিলবে না।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে ১১ এপ্রিল।
সেদিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির।
মঙ্গলবার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঈদের দিন আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে।
“আজ এবং কাল তাপমাত্রা বাড়বে, ঈদের দিনও সেটা অব্যাহত থাকবে। কালবৈশাখীর সময় তো…বিক্ষিপ্তভাবে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।”
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে।
কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও পটুয়াখালী জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এটি বিস্তার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দুই-চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে।
সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।