টেকনাফ, ঢাকার উত্তরা ও গাজীপুর কেন্দ্রীক মাদক কারবারি চক্রের সদস্য তারা।
Published : 24 Sep 2022, 11:26 PM
নিরাপত্তা কোম্পানির পোশাক ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মাদকের কারবার দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিলেন একটি বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানির দুই কর্মী।
শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজধানীর উত্তরা থেকে এ দুইজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং তাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজারটি ইয়াবা এবং তিন গ্রাম আইস উদ্ধার করেছে।
গ্রেপ্তার মো. ইসমাইল ও রবিউল হাসান মামুন এলিট ফোর্স নামের একটি বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মী। অপর ব্যক্তি জাকারিয়া মাসুদ বাপ্পী কাপড় ব্যবসায়ী।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ওই দুইজন মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিলেন। তাদের সহযোগী ছিলেন বাপ্পী।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরার ৭ নং সেক্টরের রবীন্দ্র সরণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মেহেদী জানান, নিরাপত্তা কর্মীর পোশাক পরে মাদক ব্যবসা করলে সহজে সন্দেহ করা যাবে না- এমন সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা ব্যবসা করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুইজন জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা টেকনাফ, ঢাকার উত্তরা ও গাজীপুর কেন্দ্রীক মাদক কারবারি চক্রের সদস্য জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইসমাইল আর মামুন জানিয়েছে, কক্সবাজারে তাদের বাড়ি হওয়ায় সেসব এলাকার লোকজনের সাথে তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে ঢাকা ও গাজীপুরের মাদক কারবারিদের পাইকারি দরে সরবরাহ করে থাকে।”
মাদক কারবারের সময় তারা কোনো ফোন নম্বর ব্যবহার করত না জানিয়ে অধিদপ্তর কর্মকর্তা মেহেদী জানান, চক্রটি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে কারবার চালিয়ে আসছিল। এটাকেই তারা নিরাপদ মনে করে।
“তবে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ফোনে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।“
এ বিষয়ে এলিট ফোর্সের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) খলিলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। তবে নিরাপত্তা কর্মীদের (গার্ডের) কাজের সময় মূলত ৮ ঘণ্টা হয়ে থাকে। এর বাইরে তারা কী করে তা জানা থাকে না।
“আমাদের কোনো গার্ড গ্রেপ্তারের খবর জানা নেই। কেউ জানাননি। তবে কেউ দোষী হয়ে থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়ে থাকে।”