তিন ভবনের বাসিন্দা পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও অপরাধী খুঁজে পায়নি পুলিশ।
Published : 11 Jul 2023, 12:00 AM
ঢিল ছোড়ার ঘটনায় মেট্রোরেল আইনে করা প্রথম মামলাটির কূল-কিনারা দুই মাসেও করতে পারেনি পুলিশ।
তদন্ত এখন তিনটি বাড়িতে কেন্দ্রীভূত করার কথা দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা জানালেও সেখানেও অপরাধীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল চালুর চার মাসের মাথায় গত ৩০ এপ্রিল সকালে ঢিল এসে পড়ে আগারগাঁও থেকে উত্তরাগামী একটি কোচে। এতে জানালার কাচে চিড় ধরে।
মেট্রোরেলের লাইন অপারেশন শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল কাদির এই ঘটনায় মেট্রোরেল আইনে প্রথম যে মামলা কাফরুল থানায় করেন, তাতে ঢিলের কারণে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার দুই মাসের বেশি সময় পর তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে কাফরূল থানার ওসি হাফিজুর রহমান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এখনও তাদের তদন্ত চলছে।
তদন্ত কোন পর্যায়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার মাঝামাঝিতে ওই ঢিলটি আঘাত হেনেছিল। তাই প্রথমে সেই এলাকা ধরে কয়েকটি বহুতল ভবন এবং সেই সব ভবনের বাসিন্দাদের একটি তালিকা তৈরি করেন তারা।
“শেষে আমরা একটি ‘শট লিস্ট’ করি। এই লিস্টে সর্বশেষ তিনটি বাড়ির তালিকা তৈরি করা হয়। এই তিনটি বাড়ির যে কোনো একটির ছাড় থেকে ঢিল ছোড়া হয়েছিল বলে আমরা প্রায় নিশ্চিত হয়েছি।”
সেই তিনটি ভবনের বাসিন্দাদেরও তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ। তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকাও করা হয়েছে।
ওসি হাফিজুর বলেন, “এই পাঁচজনকে আমরা একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিন্তু তারা কেউ ঢিল ছোড়ার কথা স্বীকার করে না।”
নিরাপরাধ কেউ যেন হয়রানিতে না পড়েন, সেই কারণে পুলিশ রয়েসয়ে এগোচ্ছে বলে জানান তিনি।
মামলাটি তদন্ত করছেন কাফরুল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আব্দুল বাতেন।
তিনিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় জানান, তারা সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও আসল ব্যক্তিটিকে এখনও খুঁজে পাননি।
“আমরা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীকেও পাওয়া গেছে। কিন্তু তিনটির মধ্যে নির্দিষ্ট বাড়ি এবং ব্যক্তির বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারিনি।”
তদন্তে ‘চুড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে একটু সময় লাগবে’, বলেন তদন্ত কর্মকর্তা বাতেন।
মামলাটি হয়েছে মেট্রোরেল আইন-২০১৫ এর ৩৫ ও ৪৩ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারায়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামির সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।