হাই কোর্ট রিট আবেদন খারিজ করায় আপিল বিভাগে এসেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
Published : 27 Jul 2023, 12:07 PM
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৮৯ এমপির শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৩০ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৭ বিচারকের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই রিট আবেদন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তা খারিজ করে দেয় হাই কোর্টে।
চার বছর পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসার মধ্যে আপিলের আবেদন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। গত ১২ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আপিল শুনানির জন্য ২৭ জুলাই দিন ঠিক করে দেন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বয়কট করলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে ভোটের ফল প্রকাশের পর ক্ষতাসীনদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে বিএনপি।
২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ অন্য দল থেকে নির্বাচিত ২৮৯ জন এমপি শপথ নিলেও তা বর্জন করে বিএনপি জোট থেকে নির্বাচিত সাতজন সংসদ সদস্য।
এর পাঁচ দিন পর ৮ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে না দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের শপথ করানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে উকিল নোটিস পাঠান মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদের আইনজীবী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নোটিসে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থি।
নোটিসের জবাব না পাওয়ার কথা জানিয়ে ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তৌহিদ।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চ ১৭ জানুয়ারি আবেদনটি ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেয়। পরে ফের রিট আবেদনটি করা হলে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ ওই বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি তা খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন