এ সংগঠনের দাবি, একই এজেন্সির মাধ্যমে বেশি সংখ্যক হজযাত্রী পাঠালে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না, বরং হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
Published : 31 Dec 2024, 01:33 PM
হজযাত্রীদের সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি এজেন্সি ‘বাঁচিয়ে’ রাখতে এবারের হজ মৌসুমে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম ১০০ জন হজযাত্রীর কোটা ঠিক করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ–হাব।
তাদের দাবি, একই এজেন্সির মাধ্যমে বেশি সংখ্যক হজযাত্রী পাঠালে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না, বরং হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
হাবের সহ সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন ১০০০ জন হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে মন্ত্রণালয় আলোচনা করে সেটা কমিয়ে ৫০০ করে।
“এখন এজেন্সি প্রতি ১০০ কোটা রাখলে আমাদের ১৩ শ এজেন্সির মধ্যে অনেকেই কাজ করার সুযোগ পাবে। কিন্তু ৫০০ থাকলে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা আদৌ সম্ভব হবে না এবং হজ ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।”
গোলাম সরওয়ার বলেন, “আগে এজেন্সি প্রতি সর্বোচ্চ ৩০০ জন এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রীর পদ্ধতি অব্যাহত ছিল। ফলে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব সেবা নিশ্চিত করা সহজ ও সম্ভব হয়েছে। হজযাত্রীদের কল্যাণে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আগের মত এ বছর এজেন্সি প্রতি সর্বোচ্চ ২৫০ জন এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রীর চলমান পদ্ধতি অব্যাহত রাখা হজ এজেন্সি মালিকদের প্রাণের দাবি।”
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে এজেন্সি প্রতি ৩০০ জন হজযাত্রী নেওয়া বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রায় সব এজেন্সি লিড সিস্টেমে ( এক এজেন্সির লোক অন্য এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো) কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল। এতে হজযাত্রী এবং এজেন্সি মালিকদের নিজেদের মধ্যে ‘মনোমালিন্য’ চরম পর্যায় পৌঁছেছিল। আর এ বছর এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন ৫০০ জনের বাধ্যবাধকতা থাকলে পুরো হজ ব্যবস্থাপনাই ‘ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কা ও চরম অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হওয়ার’ সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন ১০০ জন ও সর্বোচ্চ ২৫০ জন হজযাত্রী নির্ধারণ এবং প্রত্যেক এজেন্সিকে নিজ নিজ দলের হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করার সুযোগ দিয়ে হজ ব্যবস্থাপনাকে ‘সুষ্ঠু, পরিচ্ছন্ন ও সঙ্কটমুক্ত’ করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন হাব নেতারা।
২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ করার সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব; প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় শেষ হলেও সেই কোটা পূরণ হয়নি।
খরচা বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালেও প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি, হজে গিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এবার প্রাথমিক নিবন্ধনই সেরেছেন ৮৩ হাজার ৫২৭ জন, যা চূড়ান্ত নিবন্ধনে আরও কমতে পারে। তার মানে এবার হজযাত্রী কমছে অন্তত ১ হাজার ৭৩০ জন।