বিদ্যমান দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে ৫০ থেকে ৭০ আসনে ভোট করা সম্ভব বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন
Published : 08 Feb 2023, 08:53 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে হাতে থাকা দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মেশিন প্রস্তুত রাখতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান।
বুধবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “নতুন প্রকল্প স্থগিত হওয়ায় আমাদের হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি; ঠিক কতটি মেশিন রেডি করা যায়। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা আমাদের চলছে। কিউসি করছি। কাজটি চলমান। তাই এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়, কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব। বাট, আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক চেষ্টা করব।”
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড়শ আসনে ইভিএমের পরিকল্পনার কথা জানালেও কয়েক হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পে সরকারের সায় মেলেনি।
২০১৮ সালে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের কেনাসহ হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএমে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ আসনে ভোট করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। তবে ঠিক কতটি ইভিএম এখন কার্যক্ষম রয়েছে এবং কয়টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানান, দেড় লাখের মধ্যে ৭০ হাজার ইভিএম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) সংরক্ষিত রয়েছে। বাকি ৮০ হাজার মেশিন মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে।
ইতোমধ্যে বিদ্যমান ইভিএমের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যবহারোপযোগী করার সব প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করছেন কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, “কোয়ালিটি চেকিং শেষে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেনটেইনেন্স করার পর নির্বাচনে ব্যবহার উপযোগী ইভিএমের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করা যাবে।”
রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে এই কর্মকর্তা জানান, “মাঠ পর্যায়ে ৮০ হাজার ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজার হার্ড বক্সে পাঠানো হয়েছিল। বাকি ৪০ হাজার পাঠানো হয়েছিল কাগজের বক্সে, সেগুলো কোয়ালিটি চেকিং করা হচ্ছে।
“আর বিএমটিএফে যে ৭০ হাজার মেশিন ছিল, সেগুলোর মধ্য থেকেও কিছু কিছু ব্যালট ইউনিট বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় একটি কন্ট্রোল ইউনিটের বিপরীতে একাধিক ব্যালট ইউনিটের প্রয়োজন পড়েছে। মেশিনের সেট (কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ) মেলাতে হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, “কোনো আসনে তিন লাখ ভোটার রয়েছে। আবার কোনো আসনে ১৯ লাখ ভোটার রয়েছে। কোথাও যে ভোটার সংখ্যা নিয়ে একটা আসন হয়, কোথাও পাঁচটা আসন হয়। আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। তাই কোন আসন যে কমিশন দেবে সেটার ওপর নির্ভর করবে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে।”
গত ২৫ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিইনি এখনও। আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে, তা যদি কার্যকর থাকে, আমরা কিউসি করছি, যতটা সম্ভব নির্বাচন করব। এ বিষয়টা এখনও নিশ্চিত নই। কত আসনে ভোট ইভিএমে হবে, সে সিদ্ধান্ত পরে হবে।”
আরও খবর-
ইভিএম: দেড় লাখের ৩০ শতাংশের 'রক্ষণাবেক্ষণে' যাচ্ছে ইসি
ইভিএম আমার ব্যক্তিগত বিষয় নয়, হতাশও নই: সিইসি