দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে আটজনই পলাতক।
Published : 09 Apr 2025, 04:34 PM
পনের বছর আগে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে ডাকাতি করতে গিয়ে রেজিয়া বেগম নামে (৭৫) নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে ১০ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত (সিনিয়র জেলা ও দায়রা)-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেনের আদালত এ রায় দেয়।
দণ্ডিতরা হলেন-জাহাঙ্গীর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আলাউদ্দিন, শাহিন সরদার, মতিউর রহমান, আলম, সাইদুল ইসলাম, ইমরান ওরফে এমরান, ইশারত আলী এবং মাইদুল ইসলাম।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কারাগারে দেলোয়ার হোসেন ও মাইদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আর পলাতক ৮ আসামির বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সেলিম খান।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে খাবারের পর মা, স্ত্রী, সন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন সৌদি ফেরত গোলাম কবীর। রাত ৩টা থেকে পৌনে ৪ টার দিকে তাদের কাজের মেয়ে সাবিনা এসে গোলাম কবীরের দরজায় নক করে বলেন, ‘নানি অসুস্থ, দরজা খোলেন’।
দরজা খুললেই ৪/৫ জন ডাকাত ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ৪৭ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকা পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এসব মালামালের মূল্য ৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
ঘণ্টাখানেক পর গোলাম কবীর তার মা রেজিয়া বেগমের রুমে গিয়ে দেখেন তার হাত-পা বাধা। পরে জানতে পারেন, ডাকাতরা তার মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় গোলাম কবীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ২৮ মার্চ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেয়।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী গোলাম কবীর।
“তিনি বলেন, “আশা করছি, উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে।”
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবুল হোসেন এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আশা করছি উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পাব, আসামিরা খালাস পাবে।”